ফের বৃষ্টিতে ভিজে বাসে উঠতে খানিকটা ভিজে যাই। সামনে থেকে পেছনে চোখ বুলাই। খালি কোন সিট চোখে পড়েনা। ফের অনুসন্ধানী দৃষ্টিতে নজর দিই। মাঝ বরাবর একটা সিট খালি মনে হল। পাশে গিয়ে দেখি একটি মেয়ের পাশের সিট খালি। দূরের জার্নি ,বসার একটা ব্যবস্থা করতে হবে ভেবে প্রশ্ন ছুড়ি- আপনার সাথে কেউ আছেন?
জ্বীনা।
আমি বসি?
হ্যা বসুন।
ধন্যবাদ।
পরণের কাপড় ভিজা তাই যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে সিটের বাইরের দিকে পা দিয়ে বসি।আমার পরে আরো কয়জন বাসে উঠে কন্টাক্টর সহ তাদের কেউ কেউ সামনে পেছনে যাওয়াতে আমাকে বারবার নড়ে চড়ে বসতে হয়। বার বার আমাকে এমন করতে দেখে বলে- আপনি সোজা হয়ে বসুন। আরেকটু চেপে জানলার পাশে বসার ব্যর্থ চেষ্টা করেন তিনি।
না না ঠিক আছে আমার পরণের কাপড় খানিকটা ভেজা কিনা তাই।
বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি। রাস্তা খারাপ। বাস চলার অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে নৌকায় করে যাচ্ছি। বাস যখন বড় গর্তে পড়ে পাশের যাত্রীর গায়ে হেল পড়া ছাড়া কোন উপায় থাকেনা। কখনো আমি পাশের যাত্রীর উপর গিয়ে পড়ি আবার কখনো উনি।
বৃষ্টি থামেনা, রাস্তার অবস্থাও একই। চলার গতি বলতে খুড়িয়ে চলা।।
বাসের গড়াগড়িতে উপর থেকে একটা ব্যাগ আমার পায়ের উপর পড়ে।হালকা ব্যাগ। মনে হল কিছু কাপড় চোপড় হবে। ব্যাগটা পড়ার পরই পাশের যাত্রী সরি বলে কেঁপে উঠে। ধারণা হয়তোবা ব্যাথা পেয়েছি। আমি তাৎক্ষণিক জবাব দিই না সমস্যা নেই। আমি উঠে ফের সেটা যথাস্থানে রাখি। বসতে গিয়ে দুজনার চোখে চোখ পড়ে। খানিকাটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি উভয়েই। সেটাকে সামলে নিতে জানতে চাই
আপনি যাচ্ছেন কোথায়?
কুমিল্লায়। আপনি?
আমিও ।
কিছুটা ক্লান্ত মনে হল তাকে। দিনের ক্লান্তি শেষে হয়তো বাসায় ফিরছে।আর কথা বাড়াতে চাইনি। কথা তুলে সে ই।
আপনার বাসা বুঝি কুমিল্লায়?
না, এক বন্ধুর বিয়েতে যাচ্ছি।
আমি যাচ্ছি এক কাজিনের বিয়েতে।
তাই ? শহরেই নাকি?
জ্বী।
একটা ভাঙ্গা ব্রিজের কাছে বাস থেমে পড়ে। অঝর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে । ঘোর অন্ধকারে কিছুই দেখা যায়না। মনে মনে খুব ভয় পাচ্ছি কখনো না আবার বাস রাস্তা ছেড়ে খাদে পড়ে যায়।
পাশের যাত্রী তার হাত ব্যাগে কী যেন খুঁজে। ব্যাগের এপাশ ওপাশ তন্ন তন্ন করেও কাঙ্খিত বস্তুটি খুজে পায়না। তাকে কিছুটা উদ্বিগ্ন মনে হয়। জানতে চাই- কোন সমস্যা হল নাকি?
না, মানে মোবাইলটা খুজেঁ পাচ্ছিনা।
আছে হয়তোবা কোন ফাঁক ফোকরে।
না ব্যাগে নেই দেখছি।
কোথাও পড়ে যায়নি তো? কিংবা বাসায় রেখে এসেছেন কিনা।
ঠিক মনে পড়ছেনা।
আমার মোবাইলটা বাড়িয়ে দিলাম- একটা ফোন করে দেখুন কি অবস্থা।
প্রথম দুইবার রিং হলেও কেউ ধরেনি। তৃতীয় কলের সময় একজন রিসিভ করে জানায় যে মোবাইল বাসায় রেখে এসেছে। তখনই মনে পড়ে কলেজ থেকে ফিরে মোবাইল চার্জে দিয়েছিল। তাড়াহুড়া করে বের হবার সময়ে আর মনে ছিলনা।
প্রায় আধ ঘন্টা সময় ব্যয় করে ভাঙা ব্রীজটা পেরোয়। আবার খুড়িয়ে চলতে শুরু করে বাস । মাঝে মাঝে বাসের ঝাকুনিতে পাশের যাত্রী আমার গায়ে হেলে পড়ে। রাত ঘনিয়ে আসার সাথে তার ক্লান্তিও ভর করেছে শরীরে। হেলে পড়াটা তার কাছে খানিকটা বিব্রতকর লাগছে। বিষয়টি আচঁ করতে পেরে তাকে স্বাভাবিক করতে জানতে চাই
আপনি মনে হয় বেশ ক্লান্ত।
হ্যা সকাল আটটায় বাসা থেকে বেরিয়েছি। ক্লাশ করেছি চারটা। শেষ বিকেলে একটা এসাইনমেন্ট ছিল। বাসায় ফিরে কিছু নাকে মুখে গুজে রওয়ানা দিতে হয়েছে।বাস স্ট্যান্ড এ পৌছতেই সন্ধে হয়ে আসে। এত ধকলের পর যাবার ইচ্ছে ছিলনা। কয়দিন বাদে পরীক্ষা।কিন্তু বারবার সে ফোন করছে,তাই....
আমি যার বিয়েতে যাচ্ছি অনেক দিন ধরে আমাদের দেখা নেই। কেবল মোবাইলে যোগাযোগ। বলেছে আমি না গেলে গাল ফুলিয়ে বসে থাকবে।
তাই নাকি? তাহলেতো আপনারা দারুণ বন্ধু!
তা বলেত পারেন।
আমার মোবাইলটা বেজে উঠে। ওই প্রান্ত থেকে জানতে চায় আমি কোথায় আছি। উত্তর দিই বাসে । কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পৌছে যাব। কলটা শেষ হতেই পাশের জন অনুরোধ করেন
মোবাইলটা একটু দিবেন প্লিজ- কাজিনটা হয়তো আমাকে খুঁজ করছে না পেয়ে চিন্তা করবে, তাকে একটু জানিয়ে দিই।
সাগ্রহে মোবাইলটা বাড়িয়ে দিই।
প্রথমবার রিং হতেই অন্য প্রান্ত থেকে ভেসে আসে- মৃদুল কোন সমস্যা?
আমি মৃদুল না,অনন্যা।
অনন্যা?
আমার পাশে একজন আছেন উনার কাছ থেকে মোবাইল চেয়ে নিয়েছে তোমাকে জানানোর জন্য।
এটা তো মৃদুলের নম্বর। একটু আগে কথা হয়েছে আমার সাথে। তুই কি তার সাথে নাকি?
হ্যা।
শোন ও আমার বন্ধু। কোন চিন্তা করিসনা। রাখি।
ফোনটা আমাকে ফেরত দিতে জানতে চায়- আপনি চৈতালির বিয়েতে যাচ্ছেন?
আমি একটু অবাক হলাম। জ্বী, আপনি চেনেন নাকি?
আমিতো তার বিয়েতই যাচ্ছি! কিভাবে মিলে গেল! ভালই হল। রাত হয়ে যাওয়াতে আমি চিন্তিত ছিলাম।
এবার অনন্যা কিছুটা স্বাচ্ছন্দবোধ করে।আলাপে মত্ত হতে চায় কিন্তু ক্লান্তিতে চোখ বুঝে আসে। জোর করে চোখ খুলে রাখার ব্যর্থ চেস্টা করে। পরে আলাপ করা যাবে আপনি একটু বিশ্রাম নিন বলে কথার ইতি টানি।
ক্লান্তি আর বাসের ঝাকুনিতে অল্প সময়ের মধ্যেই ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যায় অনন্যা। বাসের প্রবল ঝাকুনিতে জেগে থেকেই শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখা দায়; ঘুমিয়েতো সেটা অবান্তর। ঘুমের ঘোরে অনন্যার মাথা এসে ঠেকে আমার ঘাড়ে।
বাসের ঝাকুনিতে মাঝে মাঝে আমার কাধ ছেড়ে কখনো জানলার দিকে হেলে পড়ে ফের আমার কাধেঁ। হঠাৎ প্রচন্ড এক ঝাকুনির চোটে অনন্যা আমার কোলে হেলে পড়ে।
রাত গভীর হয়;পাল্লা দিয়ে বাড়ে বৃষ্টি। ভাঙ্গা রাস্তা আর বৃষ্টির কারণে দুই ঘন্টা লেটে আমরা কুমিল্লায় পৌছি।
অন্যানা ঘুম থেকে জেগে দেখে আমার বাহুডুরে আবদ্ধ। ধড়ফর করে উঠে বসে। লজ্জায় কুকরে যাবার মত অবস্থা। কেমন করতে থাকে। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বলি-বিব্রত হবার কিছু নেই, আপনার ঘুম ব্যঘাত ঘটবে বলে জাগাইনি। চলুন নামার সময় সময় হয়েছে।
রাত তখন এগারটা প্রায়। বিদ্যুৎ বিহীন শহরে নিকষ অন্ধকার। একটা রিক্সায় উঠি দু’জন। বাসের রেশটা তার মধ্যে অনুভব করি তখনও। জড়োসড়ো হয়ে বসে । আমি ফের........।
আমি বাসা চিনিনা। অনন্যা একবার এসেছিল অনেক পূর্বে। ফোন দিই লোকেশন জানার জন্য। ওই প্রান্ত থেকে হ্যালো বলতেই চার্জের অভাবে মোবাইল খানা বন্ধ হয়ে যায়। পড়ি মহা চিন্তায়। নতুন ড্রাইভার। অন্ধকারে পথ চলতে গিয়ে সে ঝাউতলার পরিবর্তে বাদুরতলায় চলে যায়। এ যেন মড়ার উপর খড়ার ঘা! অনেক কষ্টে একজনার সহায়তায় সঠিক রাস্তার সন্ধান পাই।
রাজ্যের ক্লান্তি শরীরে নিয়ে বাসায় পৌছি রাত একটায়। হাতমুখ ধুয়ে হালকা মুখে দিয়ে হারিয়ে যাই ঘুমের রাজ্যে।
বাসে উঠার পূর্বে আধঘন্টা বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম কথা প্রসঙ্গে জেনেছিল অনন্যা। অনেক বেলা হবার পরেও ঘুম ভাঙছেনা দেখে জ্বর হল কিনা সে শংকায় আমার কপালে হাত বুলায়। ঠান্ডা হাতের স্পর্শে ঘুম ভেঙে যায় আমার। আবারো বিব্রত হয় অনন্যা। মাথা নিচু করে চলে যাবার সময় তাকে থামাই। কী ব্যাপার কিছু বলতে এসেছিলেন নাকি? বসুন না।
থতমত খেয়ে যায় - না না আমি ভাবলাম কাল বৃষ্টিতে ভিজে শরীরে কোন সমস্যা হল কিনা।
অভয় দিয়ে বলি বৃষ্টিতে ভিজলে আমার কোন সমস্যা হয়না।
অন্যনা চলে যাবার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে। আপনি হাত মুখ ধুয়ে আসুন, নাস্তা রেডি।
খাবার টেবিলে বসেই চৈতালি খোচাটা দেয়- কত মেয়ে পিছনে ঘুর ঘুর করেছে কারোর দিকে যে ফিরেও তাকায়নি সে কিনা প্রথম দর্শনেই কোলে.......
লজ্জায় রাঙা লাল হয়ে অনন্যা মাথা নিচু করে উঠতে উঠতে বলে কাজটা তুমি ভাল করনি।
পেছন থেকে ওড়নার আচঁল ধরে টান দিয়ে তাকে থামায় চৈতালি। আরে বস, লজ্জার কি হল। দেখতে হবেনা কাজিনটা কার? দেখতে যেমন মনটাও তেমন আমিও মৃদুলের জন্য এমন একটা মেয়েই খুঁজছিলাম। আচ্ছা মৃদুল অনন্যাকে তোমার পছন্দ হয়েছে?
দৌড় দিয়ে রোম ছেড়ে চলে যায় অনন্যা।
বাড়ির কারোরই কোন ফুসরত নেই। কেউ ব্যস্ত আগত অতিথিদের বরণ করা নিয়ে; প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র সব কেনা হল কিনা কেউ খবর নিচ্ছে, কেউ আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে। আমি ঘুরে ঘুরে সব দেখি।
দোতলা থেকে নামার পথে সিড়িতে দেখা মেলে অনন্যার। হাতে শরবতের গ্লাস। বুঝতে পারি আপ্যায়নে মশগুল। কাছাকাছি আসতেই মুখোমুখি দাড়াই দু’জন। নির্বাক কিছুটা সময় পেরিয়ে যায়। কারোর চোখেরই পলক পড়েনা। কেউ একজন পাশ কাটিয়ে যাবার সময় সম্বিৎ ফেরে । কি বলব কিছু ভাবার পূর্বেই মুখ থেকে বেরিয়ে আসে- কেমন আছেন?
ভাল, আপনি কেমন আছেন?
ভাল।
অনন্যা তার শরবতের গ্লাসটা আমার দিকে বাড়িয়ে দেয়।আমার জন্য নয় তাই নিতে সংকোচ বোধ করে বলি- ধন্যবাদ, যার জন্য নিচ্ছিলেন তিনি অপেক্ষা করছেন ,আপনি যান।
না আপনি নেন আমি আবার নিয়ে আসব।
গ্লাসটা নিয়ে এক চুমুকেই শেষ করে ফেলি। আমার শরবত পান দেখে প্রশ্ন করে -আরেক গ্লাস এনে দিব?
না না আর লাগবেনা-গ্লাসটা বাড়িয়ে দিলাম তার দিকে।
দুই জোড়া চোখ ছিল চোখের পানে নিবিষ্ট। আমি গ্লাস অনন্যার হাতে দিয়ে ছিলাম কিনা কিংবা অন্যনা সে গ্লাস ধরেছিল কিনা সে খেয়াল কারোর ছিলনা। খেয়াল হয় গ্লাস ভাঙ্গার আওয়াজ শুনে।
কমিউনিটি সেন্টার থেকে চলে আসি।চৈতালিদের বাসায় আর যাওয়া হয়না।
ঠিকানা বদলের মত চৈতালি তার ফোন নম্বরটাও বদলে ফেলে। একদিন জানিয়েছিল ফোন করে। বে খেয়ালে সেটা স্মৃতিতে ধরে রাখা হয়নি। স্ব-স্ব ব্যস্ততায় আমাদের যোগাযোগটা তলানিতে গিয়ে ঠেকে।
সময় বয়ে চলে নিজস্ব গতিতে।তার সাথে পাল্লা দিয়ে চলি আমিও। পড়াশুনা শেষে একটা চাকুরী ও জুটে যায়।
মা বাবার আশীর্বাদ নিয়ে চাকুরীতে যোগদানের উদ্দেশ্যে এক বিকেলে রওয়ানা হই। কাউন্টারে বসে বাসের অপেক্ষা করি। বাস আসেনা। আমি প্রতীক্ষা করতে থাকি। সন্ধা ঘনিয়ে আসে। আচমকা আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। বৃষ্টির ঝটকা বাড়তেই থাকে।
ঘড়ির কাঁটা আটটা ছুই ছুই। একটা বাস এসে কাউন্টারের সামনে দাড়ায়। বৃষ্টির কারণে নেমে যাওয়া যাত্রীরা কাউন্টারের ভেতরে আসতে থাকে। যাত্রীদের ভিড়ে আমার চোখ একজনার দিকে আটকে যায়। আমার দেখার ভুল কিনা তা যখন ভাবছি দেখি আমার দিকেই আসছে।
মৃদুল সাহেব যে, কেমন আছেন?অনন্যা আমার সামনে দাড়িয়ে প্রশ্ন করে।
আমি উঠে দাড়াই। ভাল , আপনি কেমন আছেন?
আমিও ভাল।
দুইটা লাগেজ হাতে একজন সুদর্শন যুবক তার পাশে এসে দাড়ায়। পরিচয় করিয়ে দেয় আমার......।
তার সাথে করমর্দন করি। জায়গা করে দিয়ে বসতে অনুরোধ করি।
বৃষ্টি খানিকটা কমতে শুরু করেছে। অনন্যা বসে। তার স্বামী কিছু কেনা-কাটার জন্য বাইরে বেরিয়ে যায়।
কথা শুরু করে অনন্যা। বিয়ে বাড়িতে ব্যস্ততায় আর কোন কথা হয়নি। পরে যখন খবর নিলাম দেখি আপনি নেই। আপনার ঠিকানা কিংবা ফোন নম্বর কিছুই নেয়া হয়নি। সেখান থেকে ফেরার পর আপনার কোন খবর পাইনি। অনেকবার আপনার কথা মনে পড়েছে। পরীক্ষার ধকলে কেটে যায় কয়েক মাস।
পরীক্ষা শেষে আপনার সাথে যোগাযোগের নিমিত্তে ছুটে যাই চৈতালির কাছে। ততদিনে চৈতালি স্বামীর সাথে পরবাসী হয়ে গেছে। ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসি। তারপরও যে চেষ্টা করিনি তা নয় কিন্তু আপনার সন্ধান মেলেনি।
স্কুল কলেজ,বিম্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে অনেকের সাথে দেখা হয়েছে। বন্ধুর সংখ্যাও নেহায়েত কম ছিলনা। কাউকেই ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখিনি। আমার জীবনের এক বিশেষ মুহূর্তে বিশেষভাবে আপনাকে পেয়েছিলাম। ভেছিলাম বাকী জীবনটা আপনার সাথেই কাটিয়ে দিব। আপনার জন্য প্রতীক্ষাও করেছি। কিন্তু নিয়তি এক সুতোয় আমাদের বাধতে চায়নি।
অনন্যার কথার মাঝে আমি হারিয়ে যাই। কি ছিল আমাদের সম্পর্ক? দেড় বছর পূর্বে অনান্যার সাথে প্রথম দেখা । তারপর? অনন্যা কি ছিল আমার মনে? একাবারও কি তার খোঁজ নিয়েছি? আজ এ ভাবনা মনে এনে কি হবে? প্রশ্নের উত্তরইবা খুঁজে কি লাভ?
থাক এসব কথা। আপনার কথা বলুন।
ভাবনার ঘোর ভাঙে তার কথায়।
কাউন্টারের এজন দেখি আমার সামনে দাড়িয়ে আছে। স্যার, আপনার বাস চলে এসেছে।
আমি বাসে উঠে পড়ি ।
2 মন্তব্য(গুলি):
এত ভাল লেখা!সব ভাল যদি
আপনি লিখে ফেলেন আমরা লিখব
কি?
আপনি কোথা হতে কুমিল্লা যাচ্ছিলেন
সেটা স্পষ্ট করলে ভাল লাগত।
প্রথমে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি অনেক দিন হয়ে গেল আপনার মন্তব্য চোখে পড়েনি বলে। অনেক ভাল লাগল আপনার মন্তব্য। ধন্যবাদ।
আপনার প্রশ্নের জবাবে বলছি গল্প কথক ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কুমিল্লা রওয়ানা হয়েছিল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন